পাহাড়ি বিডি

★পাহাড়ি এলাকা সম্বন্ধে★

Breaking News

ads
Responsive Ads Here

রাঙ্গামাটির পাহাড়ি গ্রামে গ্যাসের সন্ধান : জ্বলছে আগুন

রাঙ্গামাটির পাহাড়ি গ্রামে গ্যাসের সন্ধান : জ্বলছে আগুন


রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটি শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ি গ্রাম যৌথ খামারপাড়া। এটি স্থাপিত হয়েছে সদর উপজেলার সাপছড়ি ইউনিয়নের রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক ঘেঁষে পাহাড়ের ঢালে। দুর্গম ওই পাহাড়ি গ্রামবাসীর পানীয় জলের সুবিধা দিতে একটি গভীর নলকূপ স্থাপন প্রকল্প অনুমোদন করে জেলা পরিষদ।
সম্প্রতি গভীর নলকূপ স্থাপন করতে গিয়ে সেখানে সন্ধান মেলে গ্যাসের সদৃশ খনিজ পদার্থের। নলকূপটি স্থাপনের জন্য গভীরে খনন করে পাইপ গাড়তে হঠাৎ ভূ-গর্ভ হতে বুদবুদ করে গ্যাস জাতীয় পদার্থ বেরিয়ে এসে দপদপ জ্বলে উঠে আগুন। এতে প্রথমে আতঙ্ক দেখা দিলেও পরে সেটিকে গ্যাসকূপ বলে ধারণা করে নিশ্চিত হন গ্রামবাসী।
বিষয়টি এলাকা থেকে ছড়িয়ে পড়ে শহরব্যাপী। এমন খবরে ঘটনাস্থল গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে সেখানে নলকূপের পাইপ দিয়ে বের হচ্ছে গ্যাস জাতীয় পদার্থ। আগুন ধরালে যা জ্বলে ওঠে দপ করে। বর্তমানে সেখানে জ্বলছে গ্যাসের আগুন। তা দেখতে জড়ো হচ্ছেন লোকজন।
নলকূপটির স্থাপনকারী কারিগর শহিদুল ইসলাম জানান, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে সাপছড়ির যৌথ খামারপাড়ায় গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজ গত কয়েক মাস ধরে চলছে। প্রায় তিনশ ফুট গভীরে পাইপ গেড়ে এক সময় হঠাৎ পাইপ দিয়ে বের হয়ে আসে গ্যাস জাতীয় পদার্থ। সেটি বিস্ফোরণ ঘটে। পরে বের হয়ে আসা পদার্থে আগুন ধরালে দপদপ জ্বলে উঠে আগুন। জ্বললে নেভে না। নেভালেও আবার আগুন ধরালে দপদপ জ্বলে উঠে।
যৌথ খামারপাড়া গ্রামের চিছ চাকমা, তিথিচান চাকমা, বৃষ কেতু চাকমা, সুশীল কান্তি চাকমা, সুমন চাকমা জানান, গভীর নলকূপ স্থাপনে পাইপ কয়েকশ ফুট গভীরে যাওয়ার পর পাইপ দিয়ে বের হয়ে আসে গ্যাস জাতীয় পদার্থ। তাতে আগুন দিলেই দপদপ জ্বলে ওঠে।
শশী চাকমা জানায়, নলকূপের পাইপ বোরিং করার সময় গভীরে গেলে অনর্গল পানি বের হতে থাকে। পরে পানির চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাইপ দিয়ে গ্যাস জাতীয় পদার্থ বের হয়। সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয়ায় তা কয়েকদিন ধরে জ্বলছে। আর যে পানি বের হয়ে আসছে তা লবণাক্ত। বিষয়টি এলাকাজুড়ে ব্যাপক কৌতূহল সৃষ্টি করেছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে জানান, গভীর নলকূপের পাইপ দিয়ে গ্যাস বের হওয়ার খবর শোনা গেছে। আমারা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। বিষয়টি পেট্রোবাংলা এবং খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে।
তিনি আরো জানান, এটি পকেট গ্যাস বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর তা স্পষ্ট হওয়া যাবে।