পাহাড়ি বিডি

★পাহাড়ি এলাকা সম্বন্ধে★

Breaking News

ads
Responsive Ads Here

রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থান

রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থান



কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পিলওয়ে:
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্দর নগরী চট্টগ্রাম হতে ৫০ কিলোমিটার দূরে রাংগামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থান। ১৯৫৬ সালে এ বাধের নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ১৯৬০ সালে শেষ হয়। ৬৭০.৬ মিটার দীর্ঘ এবং ৪৫.৭ মিটার উচু এই বাধটি।  পানি নিষ্কাশনের জন্য ১৬টি জল কপাট যুক্ত ৭৪৫ ফুট দৈঘ্য একটি জল নির্গমন পথ বা স্পিলওয়ে রাখা হয়। প্রতি সেকেন্ডে পানি নির্গমনের ক্ষমতা ৫,২৫,০০০ কিউসেক ফুট। 
কিভাবে যাওয়া যায়:  চট্টগ্রাম বদ্দারহাট হতে বাস যোগে কাপ্তাই যেতে হবে। কাপ্তাই বিপিডিবি রিসিভসন গেইট হতে অনুমতি নিয়ে স্পিলওয়ে দেখতে যেতে হবে।
       অবস্থান: কাপ্তাই

কর্ণফুলী হ্রদ:
১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্যে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণের ফলে কর্ণফুলী হ্রদের সৃষ্টি। কৃত্রিম এ হ্রদের আয়তন ২৯২ বর্গমাইল। এ হ্রদের সাথে কর্ণফুলীকাচালং আর মাইনী নদীর রয়েছে নিবিড় রাঙ্গামাটি শহরে এলেই চোখে পড়ে হ্রদ-পাহাড়ের অকৃত্রি সহাবস্থান যা দেশের আর কোথাও দেখা মেলেনা।
কিভাবে যাওয়া যায়: নৌ-ভ্রমণের জন্য রিজার্ভ বাজার,তবলছড়ি ও পর্যটন ঘাটে ভাড়ায় স্পীড বোট ও নৌযান পাওয়া যায়। যার ভাড়ার পরিমাণ ঘন্টা প্রতি স্পীড বোট ঘন্টায় ১২০০-১৫০০/- এবং দেশীয় নৌযান ৫০০-৮০০/- টাকা।
       অবস্থান: কাপ্তাই উপজেলা

পর্যটন মোটেল ও ঝুলন্ত সেতু:
রাঙ্গামাটি শহরের শেষপ্রান্তে কর্ণফুলী হ্রদের কোল ঘেঁষে ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে হয়েছে পর্যটন হোলিডে কমপ্লেক্স। এখানে রয়েছে মনোরম পর্যটন মোটেল। এলাকাটি ডিয়ার পার্কনামেই বেশি পরিচিত। মোটেল এলাকা থেকে দৃশ্যমান হ্রদের বিস্তীর্ণ জলরাশি আর দূরের নীল উঁচু-নীচু পাহাড়ের সারি এখানে তৈরি করেছে এক নৈসর্গিক আবহ।
এখানেই রয়েছে ৩৩৫ ফুট দীর্ঘ মনোহরা ঝুলন্ত সেতু।
কিভাবে যাওয়া যায়: রাঙ্গামাটি শহরের তবলছড়ি হয়ে সড়ক পথে সরাসরি পর্যটন কমপ্লেক্সে’ যাওয়া যায়। এখানে গাড়ি পার্কিং-য়ের সুব্যবস্থা রয়েছে। যারা ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে সার্ভিস বাসে করে আসবেন তাদের তবলছড়িতে নেমে অটোরিক্সাযোগে রিজার্ভ করে (ভাড়ার পরিমাণ আনুমানিক ৮০-১০০/-) যেতে হবে।
       অবস্থান: তবলছরী ডিয়ার পার্কতবলছড়িরাঙ্গামাটি।

সুবলং ঝর্ণা:
রাঙ্গামাটি জেলার বরকল উপজেলার শুভলং-এর পাহাড়ি ঝর্ণা ইতোমধ্যে পর্যটকদের কাছে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। এই ঝর্ণার নির্মল জলধারা পর্যটকদের হৃদয়ে এক ভিন্ন অনুভূতির কাঁপন তোলে। ভরা বর্ষামৌসুমে মূল ঝর্ণার জলধারা প্রায় ৩০০ ফুট উঁচু থেকে নিচে আছড়ে পড়ে এবং অপূর্ব সুরের মূর্ছনায় পর্যটকদের সযতনে মুগ্ধ করে।
কিভাবে যাওয়া যায়: রাঙ্গামাটির রিজার্ভ বাজারপর্যটন ঘাট ও রাংগামাটি শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে স্পীড বোট ও নৌ-যানে করে সহজেই সুবলং যাওয়া যায়। যার ভাড়ার পরিমাণ ঘন্টা প্রতি স্পীড বোট ঘন্টায় ১২০০-১৫০০/- এবং দেশীয় নৌযান ৫০০-৮০০/- টাকা।
       অবস্থান: শুভলংবরকল উপজেলা।

উপজাতীয় যাদুঘর:
রাঙ্গামাটি শহরের প্রবেশ দ্বারে সহজেই দৃষ্টি কাড়ে যে স্থাপত্যটি সেটিই উপজাতীয় যাদুঘর। ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠালগ্নে এতদঞ্চলের বিভিন্ন জাতিসত্তার নৃতাত্ত্বিক নিদর্শন সামগ্রি নিয়ে সীমিত পরিসরে এ যাদুঘরের যাত্রা শুরু হয়
কিভাবে যাওয়া যায়: যাদুঘরটি সকলের জন্য উম্মুক্ত।
       অবস্থান: রাঙ্গামাটি সদর

কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান:
নদীপাহাড় আর সবুজের সহাবস্থান নিয়ে প্রকৃতির এক অপরুপ সৌন্দর্য হলো কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান। বিস্তৃত পাহাড়রাশি আর চিত্তাকর্ষক উদার প্রকৃতির অপূর্ব সমন্বয় এ জাতীয় উদ্যান। উদ্যানের ভিতরের সেগুনপারুলগামারী আর কড়ই গাছের সারি পর্যটকদের নিকট অফুরন্ত আনন্দের উৎস।
কিভাবে যাওয়া যায়: রাঙ্গামাটি থেকে জল ও স্থল উভয় পথেই কাপ্তাই যাওয়া যায় (সময় লাগে ১ থেকে ২ ঘন্টা)চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট হতেও বাস/মাইক্রো বাসযোগে কাপ্তাই যাওয়া যায়। কাপ্তাই নতুন বাজার যাওয়ার আগে কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান গেটে নামতে হবে।
       অবস্থান: কাপ্তাই উপজেলা

পেদা টিং টিং:
কাপ্তাই হ্রদের প্রকৃতির মাঝে চলতি পথে কোন একটি টিলার উপর লেখা পেদা টিং টিং এবং চাং পাং।
এই দুইটি রেষ্টুরেন্ট আপনার জন্য চাকফি আর চিকেন ফ্রাই নিয়ে অপেক্ষা করছে। এছাড়াও এখানে পাওয়া যায় স্থানীয় খাবার "বিগল বিচি", "কচি বাঁশের তরকারী", "কেবাং"। পেদা টিং টিং একটা চাকমা শব্দগুচ্ছযার অর্থ হচ্ছে পেট টান টান। অর্থাৎ মারাত্মকভাবে খাওয়ার পর পেটের যে টান টান অবস্থা থাকেসেটাকেই বলা হয় পেদা টিং টিং। রাঙ্গামাটি শহর থেকে মাত্র ৪-৫ কিলোমিটার দূরে কাপ্তাই হ্রদের ভসমান একটি পাহাড়ে অবসথিত এই পর্যটন সংস্থা।
কিভাবে যাওয়া যায়: রাঙ্গামাটির রিজার্ভ বাজারপর্যটন ঘাট ও রাংগামাটি বিভিন্ন স্থান থেকে স্পীড বোট ও নৌ-যানে করে সহজেই যাওয়া যায়।
       অবস্থান: কাপ্তাই হ্রদ

যমচুক:
কাচালং নদীর পাশে প্রাকৃতিক নয়াভিরাম যগচুক পাহাড়। যগচুক বন্দুক ভাংগা ইউনিয়নে সবচেয়ে উচ্চতম পাহাড়। এখানে ১৯৮৮ সালে রাজবন বিহারে দ্বিতীয় বৃহত্তম ভাবনা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এই ভাবনা কেন্দ্র থেকে অনেক ভিক্ষু ধ্যান সাধনা করে গেছেন।
কিভাবে যাওয়া যায়: রাংগামাটি জেলা সদর থেকে দেশীয় ইঞ্জিন বোটে খারিক্ষ্যংত্রিপুরাছড়া এবং মাচ্চ্যাপাড়া হয়ে প্রায় ৪ ঘন্টা পায়ে হেটে যমচুক এলাকা যাওয়া যায়। যমচুগ এলাকাটি থেকে পুরো বন্দুক ভাংগা এলাকায় অবলোকন করা যায়।
       অবস্থান: বন্দুক ভাংগা ইউনিয়ন

রাইংখ্যং পুকুর:
রাইংখ্যং পুকুর মূলত একটি গভীর প্রা্কৃতিক হ্রদ। এটি রাংগামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলাধীন ফারুয়া ইউনিয়নের অর্ন্তগত বড়থলি ওয়ার্ডে অবস্থিত। এটি সমুদ্র সমতল থেকে প্রায় ২,৫০০ ফুঁট উঁচুতে অবস্থিত এবং আয়তনে ৩০ একর প্রায়। এই হ্রদের পাড়ে বহু বছর ধরে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর বসবাস। এই হ্রদ নিয়ে নানা কল্পকাহিনী রয়েছে।
কিভাবে যাওয়া যায়: কাপ্তাই জেটিঘাটস্থ লঞ্চঘাট থেকে ইঞ্জিনবোটে করে বিলাইছড়ি আসবেন। বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে ৩/৪ ঘন্টার মধ্যে বিলাইছড়ি আসা যায়। কেউ চট্টগ্রাম থেকে বিলাইছড়ি আসলে বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে প্রথমত কাপ্তাই জেটিঘাটে আসবেন। প্রতিদিন সাড়ে ৭ টায় রাঙ্গামাটির তবলছড়ি ঘাট থেকে ইঞ্চিনবোট যাত্রী নিয়ে সকাল ১০ টার মধ্যে বিলাইছড়ি পৌছেঁ। ওই বোটটি আবার বিলাইছড়ি থেকে দুপুর ২ টার মধ্যে রাঙ্গামাটির উদ্দেশ্যে ছাড়ে। এটি বিলাইছড়ি উপজেলার অন্তর্গত হলেও বিলাইছড়ি-ফারুয়া হয়ে এখানে যোগাযোগ করা অত্যন্ত কষ্টকর। কেউ চাইলেও পায়ে হাঁটা ছাড়া বিকল্প নেই। বিলাইছড়ি থেকে বড়থলি যেতে প্রায় ৭ দিন সময় লাগে। তাই এখানকার লোকজন বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলা দিয়ে এখানে আসা-যাওয়া করে।
       অবস্থান: বড়থলি ৯নং ওয়ার্ডফারুয়া ইউপিবিলাইছড়ি উপজেলারাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।

রাজবন বিহার:
মূল শহরের অভ্যন্তরে অবস্থিত রাজবন বিহার। ইচ্ছে করলে অনুমতি নিয়ে এখানে উঠাও যাবে। রয়েছে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ধ্যানের বিশাল গর্ত। আরও আছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন ধর্মীয় মূর্তি। যে জিনিসটি বিশেষ দ্রষ্টব্যজনক সেটি হচ্ছে বৌদ্ধ ধর্মগুরু শ্রদ্ধেয় সাধনানন্দ মহাস্থবির (বনভন্তে)'র মৃতদেহ ভক্তদের দেখার জন্য সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।
কিভাবে যাওয়া যায়: টিটিসি রোড দিয়ে কিংবা রাঙ্গামাটি জিমনেসিয়াম এর পাশের রাস্তা দিয়ে অটোরিক্মা কিংবা প্রাইভেট গাড়ি কিংবা অন্য কোন মটরযানে রাজবন বিহারে যাওয়া যায়। নৌপথে বিভিন্ন বোটযোগেও এখানে যাওয়া যায়।
       অবস্থান: রাঙ্গামাটি সদররাঙ্গামাটি পাবর্ত্য জেলা।

ঐতিহ্যবাহী চাকমা রাজার রাজবাড়ি:
রাজবন বিহারের পূর্ব পার্শ্বে ঐতিহ্যবাহী চাকমা রাজার রাজবাড়ি অবস্থিত। বিহার ও রাজবাড়ির মাঝে আছে হ্রদ। রাজবন বিহারর ঘুরে ইচ্ছে করলে নৌকাযোগে হ্রদ পার হয়ে রাজবাড়িতে যাওয়া যায়। বাংলা নববর্ষের শুরুতে ঐতিহ্যবাহী রাজপুণ্যাহ্ অনুষ্ঠিত হয়। চাকমাদের সর্ববৃহৎ   অনুষ্ঠানও এসময় চলতে থাকে। উপজাতীয় কৃষ্টি-সংস্কৃতির দেখা মিলবে এ সময়।
কিভাবে যাওয়া যায়: অটোরিক্মা কিংবা প্রাইভেট গাড়িযোগে কে.কে.রায় সড়ক হয়ে হ্রদের এই পাশে যেতে হবে। অতঃপর নৌকাযোগে হ্রদ পার হয়ে রাজবাড়িতে যাওয়া যাবে। কাপ্তাই হ্রদের মাধ্যমে নৌপথেও এ স্থানে আসা যায়।
       অবস্থান: রাঙ্গামাটি সদররাঙ্গামাটি পাবর্ত্য জেলা।

উপজাতীয় টেক্মটাইল মার্কেট:
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা শহরের তবলছড়ির ঠিক আগেই উপজাতীয় টেক্মটাইল মার্কেট অবস্থিত। পার্বত্য এলাকার উপজাতি কর্তৃক তৈরিকৃত বিভিন্র পোশাক এবং হস্তনির্মিত বিভিন্ন ক্ষুদ্র শিল্প ক্রয় করা যাবে। পর্যটকদের জন্য এটি একটি আকর্ষণীয় স্থান।
কিভাবে যাওয়া যায়: শহরের যে কোন স্থান থেকে সহজেই এখানে যাওয়া যায়।
       অবস্থান: তবলছড়িরাঙ্গামাটি সদররাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।

রাঙ্গামাটি ডিসি বাংলো:
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের বাংলোটি ভিতরে "কোচপানা" নামে একটি জায়গা আছে। মূল বাংলো হতে এ অংশটি বিচ্ছিন্ন। মূল বাংলোর সাথে একটি নয়নাভিরাম ব্রিজের মাধ্যমে কোচপানা সংযুক্ত। এ জায়গাটি যে কাউকেই মুগ্ধ করে। ডি সি বাংলোতে রয়েছে একটি যাদুঘর। ডি সি বাংলোতে প্রবেশ করতে হলে অনুমতি নিতে হবে। ডি সি বাংলোর বাইরেও রয়েছে একটি পার্কযেকানে রয়েছে একটি ঘাট ও বসার জায়গাযেখান থেকে কাপ্তাই হ্রদের সৌন্দর্য বেশ বাল প্রষ্ফূটিত হয়। এখানে আছে তিনশত বছরের পুরনো একটি চাঁপালিশ বৃক্ষ।
কিভাবে যাওয়া যায়: শহরের যে কোন জায়গা হতে অটোরিক্মা বা প্রাইভেট গাড়ি বা নৌপথে রাঙ্গামাটি ডিসি বাংলোতে যাওয়া যাবে।
       অবস্থান: রাঙ্গামাটি সদররাঙ্গামাটি পাবর্ত্য জেলা।

ফুরমোন পাহাড়:
কতুকছড়ি যাওয়ার পথে রাস্তার পাশেই এ পাহাড়টি অবস্থিত। এ পাহাড় থেকে পুরো শহর দেখা যায়। অনেক সময় চট্টগ্রাম শহরও দৃষ্টিগোচর হয়। এখানে আছে আন্তর্জাতিক ভাবনা কেন্দ্র।
কিভাবে যাওয়া যায়: শহর থেকে অটোরিক্মা কিংবা অন্য কোন গাড়িযোগে পাহাড়ের পাদস্থলে যাওয়া যাবে। পরে হেঁটে পাহাড়ে উঠতে হবে।
       অবস্থান: রাঙ্গামাটি সদররাঙ্গামাটি পাবর্ত্য জেলা।

রাঙ্গামাটি-কাপ্তাই সংযোগ সড়ক:
রাঙ্গামাটি-কাপ্তাই সংযোগ সড়কটি অনেক আঁকা-বাঁকা আর উচুঁ-নিচু পাহাড়ি পথ। এই সড়কের দুই পাশের মনোরম দৃশ্য পর্যটকদের নিকট খুবই উপভোগ্য। অনন্য বৈশিষ্ট্যের এমন সড়ক এদেশে আর দ্বিতীয়টি নেই। সড়কের একদিকে সবুজ পাহাড়ের সারি আর অন্যদিকে স্বচ্ছ নীল জলের হ্রদ। পাহাড়েরউপরের রাস্তায় দাড়িয়ে লেক আর পাহাড় দেকা পর্যটকদের নিকট আকর্ষণীয়।
কিভাবে যাওয়া যায়: রাঙ্গামাটি থেকে কাপ্তাই যাওয়ার নতুন সড়ক এটি। অটোরিক্মা/মাইক্রো দিয়ে যাওয়ার সময় ই সড়কের চারপাশের দৃশ্য উপভোগ করা য়ায়। এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে নিজস্ব বা ভাড়া গাড়িতে করে এই সড়ক দিয়ে রাঙ্গামাটি আসা যায়।
    অবস্থান: রাঙ্গামাটি ও কাপ্তাই এর মাঝে

কর্ণফুলী পেপার মিলস্ লিমিটেড:
১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে রাঙ্গামাটি কাপ্তাই উপজেলাধীন চন্দ্রঘোনা নামক স্থানে প্রতিষ্ঠিত হয় এশিয়ার বৃহত্তম কাগজের কল কর্ণফুলি পেপার মিলস্ লিমিটেড।
কিভাবে যাওয়া যায়: রাঙ্গামাটি থেকে জল বা স্থলে কাপ্তাই যাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট হতেও বাস/মাইক্রোযোগে কাপ্তাই/চন্দ্রঘোনা যাওয়া যায়। এর চন্দ্রঘোনা পেপার মিল ১নং গেটে যেতে হবে।
    অবস্থান: চন্দ্রঘোনাকাপ্তাইরাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।

চিৎমরম বৌদ্ধ বিহার:
পাহাড়ী অঞ্চলের অন্যান্য জেলার ন্যয় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কাপ্তাই উপজেলাতেও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উপাসনার জন্য অনেক বৌদ্ধ বিহার আছে। কিন্তু কাপ্তাই উপজেলার ৩নং চিৎমরম ইউপিতে প্রতিষ্ঠিত বৌদ্ধ বিহারটি সমগ্র পার্বত্য অঞ্চলের জন্য অন্যতম বিহার। মূলত এটি ১৮৫২ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত করে তারা উপাসনা শুরু করেন। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে এটি সংস্কার করে আকর্ষণীয় করে তোলেন।
কিভাবে যাওয়া যায়: রাঙ্গামাটি থেকে জল ও স্থল উভয় পথেই কাপ্তাই যাওয়া যায় (সময় লাগে ১ থেকে ২ ঘন্টা)। বাস,মাইক্রোঅটোরিক্মাইঞ্জিনচালিত বোটযোগে যাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল হতে বাস অথবা চট্টগ্রামস্থ কাপ্তাই রাস্তার মাথা হতে সিএনজিযোগে কাপ্তাই চিৎমরম কিয়াং ঘাটে নামতে হবে। কিয়াংঘাট নেমে নৌকাযোগে কর্ণফুলি নদী পার হয়ে কোয়ার্টার কি.মি. গেলেই চিৎমরম বৌদ্ধ বিহার চোখে পড়বে।
       অবস্থান: কাপ্তাইরাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।

সাজেক ভ্যালী:
রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন সাজেক। এটিকে রাঙ্গামাটি ছাঁদ বলা হয়। এখান থেকে পুরো রাঙ্গামাটি দৃষ্টিগোচর হয়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপার লীলাভূমি এটি। এখানকার বিজিবি'র ক্যাম্প ও এর আশেপাশের এলাকা সত্যিই মনোমুগ্ধকর। এখান থেকে ভারত দৃষ্টিগোচর হয়। বাঘাইছড়ি উপজেলা থেকে ৬০ কি.মি. দুরে এর অবস্থান। সড়কপথে বাঘাইছড়ি থেকে সাজেক যাওয়ার পথে বিশাল সব পাহাড়ের উপর দিয়ে ছুটে চলা রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে চোখে পড়বে নয়নাভিরাম অপার সৌন্দর্য। 
কিভাবে যাওয়া যায়: রাঙ্গামাটি থেকে নৌপথে লঞ্চযোগে অথবা সড়কপথে বাঘাইছড়ি যাওয়া যায়। রিজার্ভ বাজার লঞ্চঘাট থেকে প্রতিদিন সকাল ৭.৩০ থেকে ১০.৩০ ঘটিকার মধ্যে লঞ্চ ছাড়ে। ভাড়া জনপ্রতি ১৪০-২০০ টাকা। সময় লাগে ৫-৬ ঘন্টা। বাস টার্মিনাল থেকে সকাল ৭.৩০ থেকে ৮.৩০ ঘটিকার মধ্যে বাস ছাড়েভাড়া জনপ্রতি ২০০ টাকা। সময় লাগে ৬-৭ ঘন্টা। বাঘাইছড়ি থেকে জীপ (চাদেঁর গাড়ি) অথবা মোটর সাইকেলে সাজেক ভ্যালীতে পৌঁছানো যায়। ভাড়া জনপ্রতি ৩০০/-টাকা।
    অবস্থান: সাজেকবাঘাইছড়িরাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।

ন-কাবা ছড়া ঝর্ণা:
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনন্য মনলোভা দর্শণীয় স্থান হলো ন-কাবা ছড়া ঝর্ণা। পানি প্রবাহিত ছড়ায় পাথরের উপর আঁকা-বাঁকা পাহাড়ি পথ হেঁটে এই ঝর্ণা দেখতে যাওয়াও রোমাঞ্চকর। এই ঝর্ণায় দৃষ্টিনন্দন শৈল্পিক সৌন্দর্য অবলোকন করে চারদিকে তাকালে প্রকৃতির বিচিত্র রুপ ও পাহাড়ি ঢেউ ছাড়া আর কিছুই নজরে পড়ে না। বিলাইছড়ি সদরে ধুপ্যাচর ও দীঘলছড়ি এ দু সেতুর কাছে দর্শণার্থীদের সমাগম ঘটে। এই স্থানে আসলে উপজাতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বাস্তবে দেখা ও জানা যায়।
কিভাবে যাওয়া যায়: কাপ্তাই জেটিঘাটস্থ লঞ্চঘাট থেকে ইঞ্জিনবোটে করে বিলাইছড়ি আসবেন। প্রতিদিন সাড়ে ৭ টায় রাঙ্গামাটির তবলছড়ি ঘাট থেকে ইঞ্জিনবোট যাত্রী নিয়ে সকাল ১০টার মধ্যে বিলাইছড়ি পৌছেঁ। ওই বোটটি আবার বিলাইছড়ি থেকে দুপুর ২টার মধ্যে রাঙ্গামাটির উদ্দেশ্যে ছাড়ে। বিলাইছড়ি সদরস্থ লঞ্চঘাট নতুবা নলছড়ি নামক স্থান থেকে ইঞ্জিনবোটে করে বিলাইছড়ি ডেবারা মাথায় এসে ওখান থেকে ন-কাবা ছড়া ঝর্ণায় যেতে হবে।
    অবস্থান: ন-কাবা ছড়াবিলাইছড়িরাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।
 ওয়াগ্গা চা এস্টেট:
চট্টগ্রামের বৃহত্তম  মনোমুগ্ধকর চা বাগান হলো ওযাগ্গা চাএস্টেট পাহাড়ী এলাকায় কর্ণফুলি নদীর তীরে  চা বাগানঅবস্থিত কাদেরী টি এস্টেট পরিচালিত এই চা বাগানপর্যটকদের জন্য অত্যন্ত মনোরম  উপভোগ্য এখানকারপ্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের মন জড়িয়ে দেয় 
কিভাবে যাওয়া যায়: রাঙ্গামাটি থেকে জল  স্থল উভয়পথেই কাপ্তাই যাওয়া যায় (সময় লাগে  থেকে  ঘন্টা)বাস/অটোরিক্মা/ইঞ্জিনচালিত বোটযোগে যাওয়া যায়চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট হতেও বাসযোগে কাপ্তাই যাওয়া যায়কাপ্তাই উপজেলার বড়ইছড়ি নামক স্থানে নামতে হবেএখানে নেমে ওয়াগ্গাছড়া চা এস্টেট এর নৌকাযোগেকর্ণফুলি নদী পার হয়ে ওয়োগ্গাছড়া চা বাগান যেতে হবে
অবস্থান:ওয়াগ্গাছড়াকাপ্তাইরাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা

No comments:

Post a Comment